আমাদের দেশে মিষ্টি কুমড়া খুবই পরিচিত একটি সবজি। মিষ্টি কুমড়া খুবই পুষ্টিদায়ক একটি খাবার। যারা স্বাস্থ্যের প্রতি বেশি খেয়াল রাখে তারা অবশ্যই সপ্তাহে একবার হলেও তাদের খাবারের আইটেমের মিষ্টি কুমড়া রাখে।
মিষ্টিকুমড়ায় রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, কপার, ফসফরাস, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ এবং বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমূহ।
মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা
- ক্যান্সার প্রতিরোধক
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনে
- হৃদপিণ্ড ভালো রাখে
- চোখ ভালো রাখে
- ওজন কমায়
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
ক্যান্সার প্রতিরোধক
মিষ্টি কুমড়া ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে কারণ মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। ক্যান্সার প্রতিরোধ করার পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল কমায়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনে
কুমড়োর দানায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোএস্ট্রোজেন যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে। যারা হাই প্রেসারে ভুগছেন তারা অবশ্যই ওষুধের পাশাপাশি কুমড়োর বীজ খেতে পারেন। কুমড়োর বীজের উপকারী গুণ আপনি নিজের চোখে দেখবেন।
হার্ট ভালো রাখে
মিষ্টি কুমড়া রয়েছে ফাইবার যা ঠোঁটকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। আপনি যদি হার্টের রোগী হয়ে থাকেন, অবশ্যই আপনার নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি কুমড়ো খেতে পারেন। যদি হার্টের রোগীর নাও হয়ে থাকেন তাহলেও কুমড়ো খেলে এর উপকারী গুণ গুলোতো পাওয়াই যাচ্ছে। বিশেষ করে পাকা কুমড়ায় ফাইবার বেশি থাকে।
চোখ ভালো রাখে
কুমড়াতে রয়েছে বিটাক্যারোটিন ও আলফা-ক্যারোটিন যা চোখের ছানি পড়া রোধ করে এবং চোখের রেটিনা কোষকে রক্ষা করে। তাই যদি আপনিও চান আপনার চোখকে আরো ভালো সুস্থ রাখতে তাহলে অবশ্যই আপনার দৈনন্দিন খাবারের পাশাপাশি কুমড়া যোগ করুন।
ওজন কমায়
মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবার যা দ্রুত ওজন কমানোর জন্য ভালো একটি খাবার। এগুলো ছাড়াও কুমড়াতে রয়েছে পটাশিয়াম যা শরীরের বাড়তি মেদ সরিয়ে দিতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
মিষ্টি কুমড়া রয়েছে ফাইবার যা সহজেই হজম করতে সাহায্য করে। হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ফাইবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আর মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার।