এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানতে পারব VPN কি? কিভাবে কাজ করে ভিপিএন।
VPN এর পূর্ণরূপ কি?
Vpn এর ফুল ফর্ম হচ্ছে :- ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (virtual private network)। তাহলে সর্বপ্রথম জেনে নেই নেটওয়ার্ক কি?
VPN কি?
এখন ধরেন আপনি আপনার ঘরের মধ্যে কোন ইন্টারনেট লাইন ব্যবহার করছেন। তাহলে অবশ্যই আপনার কাছে একটি মডেম অথবা একটি রাউটার থাকবে। এগুলো ছাড়া আপনার কাছে ধরেন মোবাইল, কম্পিউটার, একটি টিভি রয়েছে। এখন ধরেন আপনার ফোনের থেকে আপনার টিভির মধ্যে অথবা কম্পিউটারের মধ্যে কোন ডাটা ট্রান্সফার করছেন। তাহলে এখানে একটি নেটওয়ার্ক কাজ করছে। এটা হচ্ছে আপনার ইন্টারনাল নেটওয়ার্ক। এখানে বাইরের নেটওয়ার্কের সাথে আপনার কোন কানেকশন নেই।
কিন্তু এখন ধরে নিন, আপনি ইন্টারনেটের সাহায্যে কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলেন। ধরেন আপনি এই পোস্টটি পড়ছেন, পোস্টটি পড়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে গুগলের প্রবেশ করতে হয়েছে। তাহলে এর ডাটা গুগলে রয়েছে। এখন হতে এটা ইউএস এর মধ্যে, ইন্ডিয়ার মধ্যে, জাপানের মধ্যে ওই পার্টিকুলার জায়গা থেকেই আপনি এই পোস্ট পড়তে পারছেন।
এখন এখানে হচ্ছে, আপনি যখনই গুগলে কোন কিছু লিখে রিকোয়েস্ট করেন গুগলের যে সার্ভারে পেইজ লোড রয়েছে ওই পেজ আপনার সামনে আসবে ঐখান পর্যন্ত আপনার রিকোয়েস্টটা পৌঁছায়। তারপরে সার্ভারের জবাব আসে আপনার স্কিনের মধ্যে যার দরুন আপনি যা সার্চ করেছেন তা দেখতে পান।
ইন্টারনেটের মধ্যে যত ডিভাইস রয়েছে প্রত্যেকটি একটি পার্টিকুলার এড্রেস এর মধ্যে সীমাবদ্ধ। আর এই পার্টিকুলার এড্রেসের মধ্যেই দিয়েই সব কাজ হয়। এখন আপনার যেই আইপি অ্যাড্রেস অথবা ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেস এই অ্যাড্রেস ওই প্রটোকল সার্ভারের যায়। তারপর ওইখান থেকে আপনার আইপি অ্যাড্রেস অনুযায়ী জবাব পাঠানো হয়। আপনি যা রিকোয়েস্ট করেছেন তা অনুযায়ী।
এখন এখানে আপনার কিছু লাভ এবং লোকসান রয়েছে। লাভ হল এই টেকনিকের কারণে আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারতেছেন। ক্ষতি হচ্ছে, আপনার যারা ইন্টারনেট প্রোভাইড করছে তারা চাইলে আপনাকে ট্র্যাক করতে পারে। যে আপনি কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করছেন, কেননা তারা আপনার আইপি অ্যাড্রেস জানে, এটা ছাড়া এটাও জানে যে আপনি কোন কোন আইপি অ্যাড্রেস এর জন্য রিকুয়েস্ট করছেন।
মোটকথা আপনার আইপি অ্যাড্রেস যদি কোন কারো কাছে যায় তাহলে সে চাইলে আপনার ডিভাইস হ্যাক করতে পারে।
VPN কি কাজ করে?
এখন ধরেন আপনি বাংলাদেশের মধ্যে বসে এমন কোন ভিডিও দেখতে চাচ্ছেন যা বাংলাদেশের জন্য এভেলেবেল না, মানে বাহিরের দেশে যেমন ইউএসএ জাপান ইত্যাদি কান্ট্রির জন্য এভেলেবেল। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি কোন ভিডিও দেখতে চান তাহলে আপনার ডিসপ্লে শো করবে (দিস ভিডিও ইস নট অ্যাভেলেবল ইন ইউর কনট্রি) ইংলিশে লেখাটা। আপনার ডিসপ্লের মধ্যে শো করবে।
তাহলে অবশ্যই তারা বুঝতে পারে যে, আপনি কোন দেশের থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। এখন এই সমস্ত জায়গায় Vpn আমাদের কাজে লাগে। কারণ Vpn এর সাহায্যে এই সমস্যার সমাধান করা যায় খুব সহজে।
Vpn এর মানে হচ্ছে ধরেন আপনি বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছেন দূরের কোন এক দেশে Vpn এর সার্ভার রয়েছে। আর একবার যখন Vpn এর সাহায্যে আপনি ওই সার্ভারে কানেক্ট হয়ে যাবেন তখন আপনার এবং ওই সার্ভারের মধ্যে যেই কানেকশন গুলো হয় ওইগুলো কমপ্লিটলি এনক্রিপটেড হয়। এখন আপনি তো বাংলাদেশে বসে রয়েছেন কিন্তু ইউএসএ’র কোন একটি Vpn কানেক্ট হয়েছেন তাহলে আপনার আইপি অ্যাড্রেস ইউএসএ’র আইপি অ্যাড্রেসে কনভার্ট হয়ে আপনার অবস্থান ইউ এস এর মধ্যে শো করবে।
কোন VPN ইউজ করা যাবে
ইন্টারনেটের মধ্যেতো লাখের উপরে Vpn রয়েছে। এখান থেকে আপনার জন্য কোনটা বেস্ট হবে? এটা নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই আমাদের ওয়েবসাইটে টেক ক্যাটাগরিতে টপ ভিপিএন নিয়ে পোস্ট করা রয়েছে সেখান থেকে আপনার যেই Vpn টা ভালো লাগে ডাউনলোড করে নিন।