তাওয়াফ এর শাব্দিক অর্থ কোন কিছুর চারদিকে ঘোরা। হজ্জের ক্ষেত্রে কাবা শরীফের চতুর্দিকে ঘোরাকে তাওয়াফ বলে।
তাওয়াফ করার সুন্নত তরিকা
অজু করে পাক সাফ হয়ে কাবা শরীফে এসে তাওয়াফের নিয়ত করে মনে মনে বলা “হে আল্লাহ! আমি তোমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে তাওয়াফ করছি, তুমি এটা আমার জন্য সহজ সাধ্য করে দাও এবং কবুল করে নাও।”
বাইতুল্লাহর যে কোনায় হাজরে আসওয়াদ আছে সে কোনায় হাজরে আসওয়াদকে ডান পাশে রেখে দাঁড়ান। একটু সামনে দিকে গিয়ে হাজরে আসওয়াদকে সামনে রেখে তাওয়াফের নিয়ত করে নামাজের তাকবীরে তাহরীমার সময় যেভাবে হাত উঠাতে হয় সেভাবে কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে “বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।” বলা।
তারপরে হাত নামিয়ে সম্ভব হলে হাজরে আসওয়াদ এর ওপর হাতদুটো এমনভাবে রাখবেন যেমনভাবে সিজদার সময় রাখা হয়। তারপরে আদবের সাথে উক্ত পাথরে চুমু দেওয়া। এই কার্য যদি সম্ভব না হয় তাহলে, উক্ত পাথরের দিকে হাত বা অন্য কিছু দিয়ে ইশারা করে তাতে চুমু দেওয়া।
Note. খেয়াল রাখতে হবে, হাজরে আসওয়াদে চুমু দিতে গিয়ে কাউকে যেন কষ্ট না দেওয়া হয়।
তারপরে ডান দিকে কাবা শরীফের দরজার দিকে অগ্রসর হবে। তাওয়াফের সময় রূকনে ইয়ামানি (কাবা ঘরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোন) পৌঁছে তা শুধু ডান হাত দ্বারা স্পর্শ করতে হবে। সম্ভব না হলে এর প্রয়োজন নেই, ইশারা করার জন্য হাত উঠাতে হবে না।
পুনরায় হাজরে আসওয়াদের দিকে চক্কর ঘুরে “বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ” বলে তাতে চুমু দিতে হবে যদি চুমু দেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে, অন্য কিছু দিয়ে ইশারা করে একটা চুমু দিতে হবে। এভাবে সাত চক্কর পূর্ণ করতে হবে।
তাওয়াফের পর মাকামে ইব্রাহীম এর পিছনে দু’রাকাত ওয়াজিবুত তাওয়াফ নামাজ আদায় করতে হবে।
তাওয়াফের রুকনসমূহ
- তাওয়াফের নিয়্যত করা।
- বাইতুল্লাহর বাহিরে কিন্তু এর সীমার ভিতরে তাওয়াফ করা।
- নিজে তাওয়াফ করা।