এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব পিত্তথলিতে পাথর কেন হয়।
বর্তমানে পিত্তথলিতে পাথরের সমস্যাটা অহরহ দেখা যায়। আর দিন দিন এই রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এর কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না। অথবা রোগী নিজেই বুঝতে পারে না যে তার শরীরে এরকম কোন রোগ রয়েছে।
তার জন্য রোগী প্রথম অবস্থাতে কোন চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারে না। খুব কম ক্ষেত্রেই দেখা যায় লক্ষণ প্রকাশ পায় এবং চিকিৎসা গ্রহণ করার ফলে রোগ দমন হয়। আর যদি লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পরও অবহেলা করে চিকিৎসা গ্রহণ করা না হয় তাহলে পরবর্তীতে ভয়ানক বিপদ ডেকে আনতে পারে।
পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে যে কারনে
- দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকলে পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
- ওজন বেশি হওয়ার কারণে।
- ফ্যাট জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খেলে।
- ৫০ বছরের ঊর্ধ্ব পুরুষ এবং মহিলার পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- গর্ভবতী মহিলাদের।
- আগে লিভারের সমস্যা থাকলে।
- কোন চলতি মেডিসিন হঠাৎ করে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া বন্ধ করে দিলে।
পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার লক্ষণ
- বুকের ডান পাশের পাঁজরের নিচে ব্যথা অনুভব করা। [ব্যথা অস্থায়ী হতে পারে এবং দীর্ঘস্থায়ী ও হতে পারে]
- মাথার ডান পাশে ব্যথা করা
- পাতলা পায়খানা করা।
- পায়খানার রং সাদা হওয়া।
- একটু পরপর ঢেকুর আসা।
- বমি বমি ভাব হওয়া।
- খাওয়ার পরে গলায় তেতো অনুভব হওয়া ইত্যাদি লক্ষণগুলো প্রকাশ পেলে অবশ্যই নিকটস্থ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এ রোগ ধরা পড়ে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ রোগ সাইলেন অবস্থায় থাকে রোগী নিজেও বুঝতে পারে না যে তার শরীরে রকম রোগ রয়েছে।
এই রোগের চিকিৎসা
চিকিৎসকদের মতে এই রোগের অপারেশন দুইভাবে করা যায় :-
- সরাসরি পেট কেটে।
- ল্যাপারোস্কপিক মেশিনের সাহায্যে।
সরাসরি পেট কেটে
সরাসরি পেট কেটে অপারেশন করা হয়। এবং ভিতরে থাকা পাথর বের করা হয়। পেট কেটে অপারেশন করার ফলে রক্তক্ষরণ বেশি হয় এবং রোগীর সুস্থ হতে বেশ কয়েকদিন সময় লেগে যায়।
ল্যাপারোস্কপিক মেশিনের সাহায্যে
এটি আধুনিক মেশিন যার সাহায্যে পিত্তপাথরের চিকিৎসা করা হয়। মেশিনটি আধুনিক হওয়ার কারণে এর পদ্ধতি খুবই সুবিধাজনক। এর কাজ হল ক্যামেরা দিয়ে দেখা এবং পেটের যে অংশে পিত্তথলি অবস্থিত সেই স্থানে ছোট ছোট ছিদ্র করে শুরু যন্ত্র দিয়ে পিত্তথলির পাথর বের করে আনা। এর ফলে রক্ত ক্ষরণ কম হয় এবং রোগী অল্প কয়েকদিনের ভিতরে ভালো হয়ে যায়।
সতর্কতাঃ কোন ধরনের কোন রোগ অনুভব করলে রোগী নিজে নিজে কোন ওষুধ খাবেন না। অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হবে।