গত কয়েক বছর আগে আমি একবার একটা সফরে যাই। সফরে অনেক সাথী ছিলো, যার বেশির ভাগই ছাত্র। দুই জন মুফতি ছাহেবও ছিলেন। সফরে কিছু জিনিস দেখে খুব ভালো লাগে। এক হলো সবাই ছাত্র, আবার ২ জন আলেম। মনে হইতো সব কিছু শিখে ফেলবো তাদের কাছে। আলহামদুলিল্লাহ আমার খুব ভালো লাগছে একটা জিনিস আমি কোরআন মুটামুটি ভাবে ওই যায়গায় শিখতে পারেছিলাম। তারপর জীবনের প্রথম একটা জিনিস উপলব্ধি করি তাহলো বাবা-মা ভাই-বোন ছাড়া আল্লাহর রাস্তায় ঈদ উদযাপন করা।
যাইহোক ঈদ করতে হলে আমাদের রাতেই এক মসজিদ থেকে আরেক মসজিদে যেতে হবে। ঈদ করতে হলে যেতে হবে কিছু করার নাই। আমরা সবাই রাত ১০ টার দিকে নতুন মসজিদে পৌছালাম। বিশাল বড় মসজিদ। এক কাতারে কমপক্ষে ৫০ জন এর বেশি মানুষ নামাজ আদায় করতে পারে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হইলো মসজিদের ভিতরে এতো গরম! পুরা মসজিদের সব ফ্যান ছেড়ে দেওয়া হইলো তাও গরম কমে না। আবার সব সাথী মুটামুটি ক্লান্ত। আলহামদুলিল্লাহ তারপর কোন রকম রাত কাটালাম। ঈদের দিন সকাল বেলা সবাই নামজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ঈদের নামাজ শেষে এক ভাইয়ের সাথে পরিচয় হলাম, আমরা সবাই।তিনি পাকিস্তান থাকেন দেশে এসেছেন ঈদ করতে। মাশাল্লাহ দেখতে খুব সুন্দর। সব দিক দিয়েই হ্যান্ডস্যাম।আমরা সবাই মসজিদে বসে আছি। কিছুক্ষণ পর একটা খবর আসলো ওই পাকিস্তানি ভাইটা খুব অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বিদেশে থাকে দেশে এসে এতো গরম সইতে না পেরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতাল ভর্তি আছে।
এদিকে রৌদ্রের তাপ এতো বেশি যে, আমাদের সবার শরীর দুর্বল হয়ে পড়ছে। আবার কিছুক্ষণ পর আমাদের এক মুফতি ছাহের আম্মার ও একটা সমস্যা হয়। যাই হোক কিছুর পর আমির ছাহেব মাগরিব নামজের পর হালকা বয়ান করে নিলো এক মুনাজাত করলেন মুনাজাতে সবার চোখে পানি ঝড়ল। এতো সুন্দর করে দোয়া করা হইছিলো আল্লাহর কাছে দোয়াটা কবুল হইয়া গিয়াছিলো।
কিছুক্ষণ পর খবর আসলো ওই পাকিস্তানি ভাইটা আলহামদুলিল্লাহ অনেকটা সুস্থ হয়ে গেছে। মুফতি ছাহেবের আম্মার সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো আল্লাহ সুবহানাল্লা তাআ’লা মনে হয় আমাদের দোয়ার বরকতে এমন বৃষ্টি দিয়েছিলেন যা সব সাথী ও এলাকার জন্য মনে হয় ওই সময়টা শান্তির সময় ছিলো। এই হলো আল্লাহর রাস্তায় বাহির হওয়ার কারগুজারি। আল্লাহর রাস্তায় বাহির হইয়া দোয়া করলে দোয়া কবুল তার এক বাস্তব প্রমান এখানে বলা হলো।
এছারা ও আল্লাহ মানুষের দোয়া অনেক ভাবে কবুল করেন। আল্লাহ আমাদের কাছে বলে তোমরা চাও তোমাদের যা লাগবে। কিন্তু এই পাষাণ হৃদয় নিয়া আল্লাহর কাছে চাইতেও পারি না। তবে ঐ দিনের চাওয়াটা আমার মনে হয় আল্লাহর কাছে অনেক পছন্দ হইছে। তাই আল্লাহ আমাদের সবাইকে আল্লাহর রাস্তায় বাহির হয়ে বেশি বেশি দোয়া করার তৌফিক দান করুন। আমিন।