আমরা আজকে লবণ কাকে বলে? লবনের রাসায়নিক তত্ত্ব, এবং লবন এর শ্রেণীবিভাগ নিয়ে আলোচনা করব।
লবণ কাকে বলে
এসিডের অনুস্থিত প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু সমূহকে পূর্ণভাবে কোন ধাতুর নেয় ক্রিয়াশীল মূলক দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা হলে যেই যৌগ উৎপন্ন হবে তাকে লবণ বলে।
বিভিন্ন লবণ এর উদাহরণ
- সোডিয়াম বাইসালফেট NaHSO4
- সোডিয়াম সালফেট Na2SO4
- পটাশিয়াম নাইট্রেট KNO3
- সোডিয়াম এসিটেট CH3COONa
- ব্লিচিং পাউডার [Ca(OCL)CL]
- সোডিয়াম বাইসালফাইট NaHSO3
- সোডিয়াম কার্বনেট Na2CO3
- পটাশিয়াম নাইট্রেট KNO3
- অ্যামোনিয়াম সালফেট [(NH4)2SO4]
লবনের গঠন
এসিডের অনুস্থিত প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন ধাতু অধাতুর অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড এর ঋণাত্মক মূলক ধারা দিয়ে প্রতিস্থাপিত করে লবণ তৈরি করা হয়।
লবনের রাসায়নিক তত্ত্ব
ধাতু অধাতুর নাম ক্রিয়াশীল মূলক ধারা এসিডের অনুস্থিতি প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণুকে প্রতিস্থাপিত করে লবণ তৈরি করে।
লবণের ধর্ম
বিভিন্ন এসিড ও বিভিন্ন ধাতুর লবণের স্বাদ বর্ণ বিভিন্ন রকমের। কোন লবণের স্বাদ নোনতা, আবার কোন লবণের স্বাদ তিক্ত আবার কোনটির মিষ্টি বা স্বাদবিহীন হয়।
লবণের বর্ণ সাধারণত সাদা, সবুজ, নীল, হলুদ, খয়রী, গোলাপি ও লাল হয়।
পানিতে বিভিন্ন লবণের দ্রবনীয়তা বিভিন্ন রকম। কোন লবণ আদৌ পানিতে দ্রবীভূত হয় না।অধিকাংশ পূর্ণ লবণ পানিতে দ্রবণীয়। পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় লবণ নিয়োজিত হয়ে ধণাত্মক আয়ন ও ঋণাত্মক উৎপন্ন করে।
পূর্ণ লবণকে পানিতে দ্রবীভূত করা হলে উৎপন্ন দ্রবণ কখনো এসিড ধর্মী, কখনও ক্ষারধর্মী আবার কখনো কখনো নিরপেক্ষধর্মী হয়ে থাকে। লবণের এরূপ প্রকৃতির আচরণ করে সংশ্লিষ্ট লবণের প্রাকৃতিক ও জলীয় দ্রবণের ওই লবণের সাথে পানির বিক্রিয়া ঘটা ও না ঘটার ওপর।
লবন এর শ্রেণীবিভাগ
গঠন ও প্রকৃতিক উপর ভিত্তি করে লবণকে ছয় ভাগে ভাগ করা হয়
- পূর্ণ লবণ/নরমাল লবণ (Normal Salts)
- এসিড লবণ/অম্ল লবণ (Acid Salts)
- ক্ষারকীয় লবণ/বেসিক লবণ (Basic Salts)
- মিশ্র লবণ (Mix Salts)
- যুগ্ম লবণ (Double Salts)
- জটিল লবণ (Complex Salts)
নরমাল লবণ (Normal Salts)
এসিডের অণুতে বিদ্যমান প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু পরমানু সমূহকে ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীল ধণাত্মক যৌগ মূলক ধারা পূর্ণভাবে প্রতিস্থাপনের ফলে যে লবণ উৎপন্ন হয় তাকে নরমাল লবণ বলা হয়।
এসিড লবণ (Acid Salts)
এসিডের অণুতে বিদ্যমান হাইড্রোজেন পরমাণুকে ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীল ধনাত্মক যৌগমূলক দ্বারা আংশিকভাবে প্রতিস্থাপনের ফলে যে লবণ উৎপন্ন হয় তাকে এসিড লবণ বলা হয়।
ক্ষারকীয় লবণ (Basic Salts)
নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্ষারকর সঙ্গে এসিডের বিক্রিয়ায় পূর্ণ লবণ প্রস্তুত করতে যে পরিমাণ এসিড প্রয়োজন হয় তা অপেক্ষায় কম পরিমাণ এসিড ওই ক্ষারকের সঙ্গে বিক্রিয়ার ফলে যে লবণ উৎপন্ন হয় তাকে ক্ষারকীয় লবণ বলে।
মিশ্র লবণ (Mix Salts)
একাধিক প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু বিশিষ্ট এসিডের প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণুকে একাধিক ভিন্ন ধাতু বা ধনাত্মক যৌগমূলক দ্বারা প্রতিস্থাপিত করলে যে লবণ পাওয়া যায় তাকে মিশ্র লবণ বলা হয়।
যুগ্ম লবণ (Double Salts)
দুটি ভিন্ন পূর্ণ লবণের সম আণবিক মাত্রায় সংমিশ্রিত দ্রবণ হতে কেলাসন প্রক্রিয়ায় যে কেলাস পানি যুক্ত লবন পাওয়া যায় তাকে যুগ্ম লবণ বলে।
জটিল লবণ (Complex Salts)
যদি দ্রবণে দুটি ভিন্ন পূর্ণ লবণ নির্দিষ্ট আণবিক অনুপাতে পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে একটি যৌগ উৎপন্ন করে, যা কঠিন অবস্থায় এবং পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় তার উৎপাদক লবণ গুলোর ধর্ম হতে ভিন্ন ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম প্রদর্শন করে তবে উৎপন্ন যৌগটি কে জটিল লবণ বলে।
ইয়ার্ন টুইস্ট সম্পর্কে জানতে – ক্লিক করুন।
অল ওভার প্রিন্টিং সম্পর্কে জানতে – ক্লিক করুন।
কটন ফাইবার নিয়ে বিস্তারিত জানতে – ক্লিক করুন।
ইয়ার্ন ডায়ার মেশিনের কাজ সম্পর্কে জানতে – ক্লিক করুন।
It’s important post for students…..
Tnq sir…
ji sir …..
textile banglar shate thakar jonno tnq.