এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা ৭টি পাওয়ারফুল অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারব।
আজকে আমরা এরকম সাতটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস নিয়ে কথা বলবো যা খুবই ইউজফুল। আর আপনি যদি এই অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার না করে থাকেন তাহলে প্লীজ ইনস্টল করে নিন এই পোস্টটি পুড়া পড়ার পরে। প্রত্যেকটা অ্যাপ্লিকেশনই সুপার ইউজফুল। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক।
৭ টি পাওয়ারফুল অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস
- অ্যামাজন প্রাইম মিউজিক (Amazon Prime Music)
- ক্রোনো (Crono)
- এডোবে লাইটরোম (Adobe Lightroom)
- গ্যালারি গো (Gallery Go)
- ইউ কাট (YouCut)
- এজ স্ক্রীন (Edge Screen)
- জি বক্স (G Box)
অ্যামাজন প্রাইম মিউজিক (Amazon Prime Music)

এই পোস্টে সর্বপ্রথম অ্যাপ্লিকেশন হল অ্যামাজন প্রাইম। খুবই জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন। এর নাম হলো অ্যামাজন প্রাইম মিউজিক। এই অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে আপনি চাইলে আনলিমিটেড মিউজিক শুনতে পারবেন এবং অফলাইন ডাউনলোড ও করতে পারবেন।
এই অ্যাপ্লিকেশন এর মধ্যে আপনি চাইলে শুধু গানই শুনতে পারবেন না লিরিকস (Lyrics) এর সাথে শুনতে পারবেন। এগুলো সাথে সাথে আপনি হাই কোয়ালিটি সং, লো কোয়ালিটি সং এবং সং প্লে লিস্ট ও পেয়ে যাবেন।
এর মানে হচ্ছে আপনি যেখানেই যান যেকোনো মুডেই থাকেন না কেন ওই মোডেরই গান শুনতে পারবেন। এই অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে আমার সবথেকে ফেভারিট অপশন হলো এই অ্যাপ্লিকেশনটির মধ্যে এলেক্সা নামক একটি অপশন রয়েছে যার মধ্যে ক্লিক করলে আপনি যেই গানটি শুনতে চান না কেন ওই গানটি প্রথম লাইন বলবেন আর গান অটোমেটিক আপনার সামনে এসে পড়বে। বলুন অসাধারণ না? তাহলে দেরি না করে এখনি ইন্সটল করে নিন অ্যাপ্লিকেশনটি।
অ্যামাজন প্রাইম মিউজিক (Amazon Prime Music)অ্যাপ্লিকেশনটি লিংক
ক্রোনো (Crono)

আমাদের লিস্ট এর দ্বিতীয় অ্যাপ্লিকেশন টি হল ক্রোনো। এই অ্যাপ্লিকেশনটির সবথেকে বড় ফিচার হলো অ্যাপ্লিকেশনটির সাহায্যে আপনার মোবাইলের নোটিফিকেশন কম্পিউটারের মধ্যে দেখতে পারবেন।
আপনি চাইলে আপনার মোবাইলের নোটিফিকেশন কম্পিউটার দ্বারা রিসিভ করতে পারেন এবং রিপ্লাইও করতে পারেন। এটা ছাড়াও আপনার কম্পিউটারের ক্লিপবোর্ড মানে আপনি চাইলে আপনার কম্পিউটারের যেকোন টেক্সট অথবা নাম্বার কপি করে আপনি চাইলে মোবাইলে পেস্ট করলে অটোমেটিক এসে পড়বে।
এটা খুবই দারুণ একটি এপ্লিকেশন এবং খুবই ইউসফুল এর ব্যবহার খুবই সহজ। আপনি চাইলে এখনই অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
ক্রোনো (Crono) অ্যাপ্লিকেশনটির লিংক
এডোবে লাইটরোম (Adobe Lightroom)

এর সম্পর্কে আপনারা হয়তো সবাই জানেন এটি একটি খুবই পাওয়ারফুল ইমেজ এডিটর নামে পরিচিত। এটা ছাড়াও কি আপনি জানেন যে এই অ্যাপ্লিকেশনটির মধ্যে একটি পাওয়ারফুল ক্যামেরাও আছে।
এই ক্যামেরার মধ্যে আপনি চাইলে র-ইমেজ ক্লিক করতে পারবেন। এরা ছাড়াও ম্যানুয়াল ক্যামেরার অপশন রয়েছে যার সাহায্যে আপনি আরও কন্ট্রোল প্রফেশনাল ছবি নিতে পারবেন। র-ফটো পাওয়ার পরে আপনি চাইলে ডাইরেক্টলি এই অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্যে এডিট করতে পারবেন আর সোশ্যাল মিডিয়ার একাউন্টে শেয়ার করতে পারবেন।
র-ফটোর মধ্যে, স্যাচুরেশন, বাইব্রেন্চ, ক্লারিটি ইত্যাদি আরো বিভিন্ন প্যারামিটার কনফিগার করতে পারবেন। এখন আপনি যদি আপনার মোবাইলের হান্ডেট পার্সেন্ট ক্যামেরা ইউজ করতে চান তাহলে অবশ্যই এডোবে লাইটরুম ট্রাই করতে পারেন।
এডোবে লাইটরোম (Adobe Lightroom) অ্যাপ্লিকেশনটির লিংক
গ্যালারি গো (Gallery Go)

গ্যালারি গো অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্যে আপনি চাইলে আপনার ছবি খুব সহজেই কন্ট্রোল করতে পারবেন। এই অ্যাপ্লিকেশনটির সবচেয়ে বড় এবং প্রধান হচ্ছে এর ওজন খুবই কম, অফলাইন, তাছাড়াও অ্যাপ্লিকেশনটির মধ্যে আপনি ডিফারেন্ট সট সিনারি দেখতে পাবেন।
এখন ধরেন আপনি স্পেশাল কোন একজনের ছবি দেখতে চাচ্ছেন নরমালি মোবাইলের গ্যালারিতে এরকম কোন অপশন দেখা যায় না যে স্পেশাল কোন একজনের ছবি দেখা যাবে। গ্যালারি গো তে আপনি যার ছবি দেখতে চাচ্ছেন তার একটি ছবিতে ক্লিক করলেই তার সবগুলো ছবি অটোমেটিক চলে আসবে।
এই অ্যাপ্লিকেশনটির মধ্যে আপনি চাইলে আপনার ফটো এডিট ও করতে পারবেন। অ্যাপ্লিকেশনটির এডিট অপশন এর মধ্যে একটি অপশন রয়েছে। অটো টিউন খুবই দারুণ অপশন লেগেছে আমার কাছে। চাইলে অবশ্যই ব্যবহার করতে পারেন অ্যাপ্লিকেশনটি। অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করা খুবই সহজ।
গ্যালারি গো (Gallery Go) অ্যাপ্লিকেশনটির লিংক
ইউ কাট (YouCut)

এখন বর্তমানে প্রায় সবার মোবাইলেই 4k রেজুলেশনের ক্যামেরা রয়েছে। যা দিয়ে আমরা সবাই ভিডিও করতে পছন্দ করি আর এই ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করি। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভিডিও আপলোড করার জন্য অবশ্যই ভিডিও এডিট করার জরুরি।
আর ভিডিও এডিট করার জন্য সবথেকে ভাল এপলিকেশন হল ইউ কাট (You Cut)। এই অ্যাপ্লিকেশনটির মধ্যে, ভিডিও ট্রিম, ক্রোপ, স্লো মোশন, ফিল্টার ইত্যাদি এগুলো ছাড়াও অনেকগুলো ভিডিও এডিটিং এর প্যারামিটার চাইলে ব্যবহার করতে পারবেন।
এই অ্যাপ্লিকেশনের একই জিনিস আমার থেকে খুব ভালো লেগেছে যা সোশ্যাল মিডিয়ার হিসেবে আপনি আপনার ভিডিও কে ক্রোপ এবং এডজাস্ট করতে পারবেন। প্রথমে আপনাকে একটু ভালই সময় দিতে হবে এডিটিং টা শেখার জন্য একটু ইউজ টু হয়ে গেলে আর কোন সমস্যা নেই।
এমনিতে ফিকেশন টি ব্যবহার করা খুবই সহজ। চাইলে এর হাজারো ভিডিও রয়েছে ইউটিউবে কিভাবে এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হয়। আপনার পছন্দ হয়ে থাকলে এখনি ডাউনলোড করে নিতে পারেন অ্যাপ্লিকেশনটি।
ইউ কাট (YouCut) অ্যাপ্লিকেশনটির লিংক
এজ স্ক্রীন (Edge Screen)

এখন বর্তমানে যত মোবাইল বের হয়েছে সবগুলোই এজ স্ক্রিন ওয়ালা। এখন যদি আপনি স্যামসাং নোট সিরিজের মোবাইল ব্যবহার করে থাকেন তাহলে তো অবশ্যই আপনি এজ প্যানেল সম্পর্কে অবশ্যই জানেন।
এই অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্যে আপনি ওই এজ প্যানেল পেয়ে যাবেন আপনার স্ক্রিনে। ফোনের লঞ্চার যখন চালু তখন বাইডিফল্ট অনেক প্যানেল পেয়ে যাবেন যেমন কন্ট্রাক্ট, ক্যালকুলেটর, ঘড়ি, মিউজিক কন্ট্রোল ইত্যাদি আরো অনেক প্যানেল পেয়ে যাবেন।
এজ স্ক্রীন (Edge Screen) অ্যাপ্লিকেশনটির লিংক
জি বক্স (G Box)

এই অ্যাপ্লিকেশনটি প্রো ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের জন্য অনেক হেল্প ফুল। এই অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে পেয়ে যাবেন, নাইন গ্রেইড, কালার পিকার, ক্রিয়েটিভ ফন্ট, বেস্ট হাষ্ট টেগ, গ্লিচ ইফেক্ট, নোক্রোপ পোষ্ট ইত্যাদি আরো বিভিন্ন অপশন। এই প্রত্যেকটি টুলস ব্যবহার করা খুবই সহজ।
এই এপ্লিকেশনটি পুরো একটি প্যাকেজ এর মতন যার মধ্যে পুরা সোশ্যাল মিডিয়ার রেডি কিবোর্ড বানিয়েছে এই অ্যাপ্লিকেশনটি। এখানে অনেকগুলো ফিচারস এভেলেবেল মানে ফ্রী কিন্তু কিছু কিছু ফিচারস প্রো ভার্শন মানে আপনাকে কিনে নিতে হবে।
জি বক্স (G Box) অ্যাপ্লিকেশনটির লিংক
দয়াকরে কমেন্টের মধ্যে অবশ্যই জানাবেন এই সাতটি অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে কোন অ্যাপ্লিকেশনটি আপনার কাছে বেস্ট লেগেছে। অবশ্যই আপনার কমেন্টের উত্তর দেওয়া হবে।
আপনার যদি আরো ভালো ভালো অ্যাপ্লিকেশনের সম্পর্কে জানতে ইচ্ছা করে তাহলেও কমেন্ট বক্সে জানাবেন আমরা অবশ্যই আপনার জন্য নতুন কোন কিছু নিয়ে আসবো ইনশাল্লাহ।