মানুষ সৌন্দর্যের পূজারী। এখানে সৌন্দর্যের পূজারী বলতে বুঝানো হয়েছে সকল মানুষই সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে থাকে। এটা কি আপনি অনেক ভাবে নিতে পারেন।
যেমন, প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্য, রোমান্টিক দৃশ্য, সুন্দর ফল, সুন্দর ফুল ইত্যাদি। মানুষ আকৃষ্ট হয় এমন সব ধরনের ছবি বা প্রতিচ্ছবি কাগজে অথবা অন্য কোন জায়গায় বিভিন্ন রং এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয় যা আমায় প্রতিফলিত হয়ে মানুষের চোখে পড়ে এটাই হচ্ছে ডিজাইন।
ডিজাইনের প্রকারভেদ।
ডিজাইন দুই প্রকার :-
- টেক্সটাইল ডিজাইন
- আর্টিস্টিক ডিজাইন
টেক্সটাইল ডিজাইন
টেক্সটাইল সম্পর্কিত যে কোন জিনিসকেই প্রতিফলিত করে ফুটিয়ে তোলাকেই টেক্সটাইল ডিজাইন বলা হয়। সাধারণত ওভেন কাপড় তৈরি করার সময় টানা ও পড়েন সুতার পরস্পর ইন্টারলেসমেন্টকে কাপড়ে প্রতিফলিত করা হয় আবার বিভিন্ন ডিজাইন এ বিভিন্ন কালার ব্যবহার করে কাপড়ের উপর বিভিন্ন ডিজাইন ফুটিয়ে তোলা হয়। মূলত একই টেক্সটাইল ডিজাইন বলা হয়।
আর্টিস্টিক ডিজাইন
একজন ডিজাইনার যখন রং তুলির সাহায্যে তার নিজস্ব চিন্তা ভাবনার মাধ্যমে আকর্ষণীয় করে কোন ডিজাইন ফুটিয়ে তোলে তাকেই আর্টিস্টিক ডিজাইন বলা হয়। আর্টিস্টিক ডিজাইন শুধুমাত্র অলংকৃত করার জন্য ব্যবহার হয়।
ডিজাইন এর উৎস
সাধারণভাবে যারা ডিজাইন করে তারা তাদের নিজস্ব চিন্তাশক্তি দ্বারা মনের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট ডিজাইন অঙ্কন করে আর ওই নির্দিষ্ট ডিজাইনটি আস্তে আস্তে কোন কিছুর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলে।
ডিজাইন তৈরি করার পূর্বে নিম্নলিখিত উৎসগুলো থেকে ধারণা নেওয়া হয়
- Human origin
- Leaf origin
- Flower origin
- Animal origin
- Tree origin
- Abstract origin
- Geometric Origin etc.
উপরের উৎসগুলো ছাড়াও আরো অনেক ডিজাইনের উত্তর রয়েছে যা কেবল যারা ডিজাইন করে তাদের উপর নির্ভর করে।
একটি ভালো সূক্ষ্ম ডিজাইনার যে কোন মুহূর্তে যে কোন স্থান থেকে তার মনের মধ্যে কি ডিজাইন অঙ্কন করে ফেলতে পারবে। এগুলো ছাড়াও যখন কাপড়ে অর্থাৎ কোন শার্ট, প্যান্ট, লুঙ্গি, চাদর, পর্দা ইত্যাদিতে ডিজাইন করার ক্ষেত্রে ডিজাইনের উৎস ভিন্ন হতে পারে।
কারণ ক্রেতার কাছে পোশাক আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য ডিজাইনাররা অনেক ইউনিক ইউনিক ডিজাইন তৈরি করেন। আর এই ইউনিক ডিজাইন এর উৎস তারা যেকোনো স্থান থেকে নিতে পারেন।
নিচে কিছু টেক্সটাইল ডিজাইনের ছবি দেওয়া হল :-







