এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা সীম সম্পর্কে জানতে পারব।
আপনারা অনেকেই শার্ট অথবা প্যান্টের মধ্যে ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন, একটি নির্দিষ্ট রেখা বরাবর একাধিক পরতা ও কাপড় জোড়া লাগানো হয় মূলত ওই রেখাকেই সীম বলে। কাপড় সেলাই করে অথবা বিকল্প কোন পদ্ধতিতে জোড়া লাগালেই সীম উৎপন্ন হয়।
তবে সীম তৈরি করার ক্ষেত্রে অবশ্যই তার গুণাগুণ যেন আদর্শ মানের হয় এবং কম খরচে হয় তার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ভালো গুণ সম্পন্ন সীম বলতে, যেই সীমের মধ্যে সেলাইয়ের একক সমূহ সঠিক ও সুষম সাইজের হয়েছে এবং কাপড়ে কোন ক্ষতি না হয় তাহলেই এটি ভালো একটি সীমে রূপান্তরিত হবে কিন্তু বিশেষ করে খেয়াল রাখতে হবে যখন সীমের কাজ করা হবে তখন যেন কোনোভাবেই কাপড় কুঁচকে না যায়। যদি কাপড় কুঁচকে যায় তাহলে কাপড়ের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাবে।
আবার কোথাও কোথাও দেখা যায় যে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কাপড়ের ডিজাইন তৈরি করার জন্য কাপড়ের সীমের মধ্যে কুচি ইচ্ছাকৃত ভাবে তৈরি করা হয়। সীম তৈরি করার সময় বিশেষ কিছু জিনিসের দিকে লক্ষ রাখতে হবে যাতে করে পোশাক তৈরি করার পর অথবা পোশাক পরিধান করার পর যাতে সীমের চেহারা যেন সঠিক থাকে তা পূর্বেই নিশ্চিত করতে হবে। সীমের গুনাগুন বলতে, সীমের শক্তি এটি কতটুকু টেকসই, আরামদায়ক কিনা ইত্যাদিকে বোঝায়।
পোশাক ওয়াশিং করার পরে যদি সীম কুঁচকে যায় তাহলে পোশাকের মান অত্যন্ত নিম্নমানের হয়ে যাবে।