এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা রোজা ভেঙ্গে যাওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে জানতে পারব।
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
সুপ্রিয় পাঠক এই পোস্টের মধ্যে আলোচনা করবো রোজা ভাঙার কারণগুলো নিয়ে। রোজা রাখার পরে যে কার্যগুলি করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে এই নিয়েই আজকের আলোচনা।
রোজা যদি কোন ভাবে রোজা ভেঙে যায় তাহলে আপনি দুই টি উপায়ে রোজা রিকভারি করতে পারবেন। কাযা এবং কাফফারা। আমরা কি জানি কাযা এবং কাফফারা কি?
কাযা
কাযা হল একটি রোজার পরিবর্তে অন্য একটি রোজা রাখা।
কাফফারা
কাফফারা হল একটি রোজার পরিবর্তে একটি কাজা রোজা রাখা এবং সাথে সাথে আরো দুই মাস ৭ টি রোজা রাখা।
চলুন তাহলে এখন আমরা জানি, রোজা রেখে কি কি কাজ করলে রোজা কাযা হবে আর কি কি কাজ করলে রোজার কাফফারা দিতে হবে।
রোজা রাখা অবস্থায় যে কাজগুলো করলে কাযা এবং কাফফারা আদায় করতে হবে।
- রোজা রাখা অবস্থায় পানাহার করলে।
- রোজা রাখা অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করলে।
- রোজা রাখা অবস্থায় যদি নেশা জাতীয় কোন দ্রব্য খেলে।
- সেহরির সময় শেষ হওয়ার পরও যদি অন্ধকারে থাকে, আবার দেখা গেছে যে আজান হয়নি এটা মনে করে কেউ যদি পানাহার করে সহবাস করে তাহলে তার রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং তাকে কাযা এবং কাফফারা দুটি আদায় করতে হবে।
উপরোক্ত কারণগুলো ঘটলে কাযা এবং কাফফারা দুটোই আদর করতে হবে।
রোজা রাখা অবস্থায় যে কাজগুলো করলে রোযা কাযা করতে হবে
- রোজার কথা স্মরণ আছে কিন্তু অজু বা গোসল করার সময় গলার ভিতরে পানি চলে গেছে কিন্তু তার স্মরণ রয়েছে যে সে রোজা রেখেছে এমত অবস্থায় তার রোযা ভেঙ্গে যাবে কিন্তু কাযা আদায় করে নিলেই হয়ে যাবে।
- দাঁত দিয়ে অথবা মুখের কোন স্থান থেকে রক্ত বেরিয়েছে থুথুর সাথে মিশে ভিতরে প্রবেশ করেছে। ভিতরে প্রবেশ করার সময় রক্ত এবং থুথুর পরিমাণ যদি সমান সমান বা বেশি হয় তাহলে তার রোযা ভেঙ্গে যাবে।
- হস্তমৈথুন করে বিজ্রপাত ঘটলে।
- মুখে বুমি চলে এসেছে, এটা যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেলে তাহলে তার রোযা ভেঙ্গে যাবে।
- কোন মহিলা যদি হায়াজ ও নেফাজ শুরু হয়ে যায় তাহলে তার রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং যতদিন পর্যন্ত হায়াজ ও নেফাজ থাকবে পরবর্তীতে তার তত দিনে রোযা কাযা আদায় করতে হবে।
- নাকের ভিতর ঔষধ বা পানি জাতীয় কোনো জিনিস যদি দেওয়া হয় এবং সেটা যদি গলার ভিতরে প্রবেশ করে তাহলে তার রোযা ভেঙ্গে যাবে।
- পায়ুপথ দিয়ে ঔষধ বা পানি যদি ভিতরে প্রবেশ করে তাহলে তার রোযা ভেঙ্গে যাবে।
- ইফতারের সময় এর পূর্বে ভুলবশত ইফতারি করে ফেললে তা রোজা ভেঙে যাবে।
- কোন ব্যক্তি রোজা রেখে ভুলবশত খাবার খেয়েছে, ভুলবশত খাওয়ার পরেও তো রোজা ভাঙ্গেনি কিন্তু সে মনে করে যে তার রোযা ভেঙ্গে গেছে এর কারণে সে আবার খাবার গ্রহণ করেছে এমন অবস্থায় তার রোযা ভেঙ্গে গেছে।
উপরোক্ত কারণগুলো ঘটলেই শুধুমাত্র কাযা আদায় করলেই হয়ে যাবে।