এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা সীমের গুনাগুন সম্পর্কে আলোচনা করব।
সীমের গুনাগুন সম্পর্কে আলোচনা করার পূর্বে আমরা জেনে নেই সীম কি?
সীম কি
যে রেখা বরাবর একাধিক পরতা কাপড় জোড়া লাগানো হয় ওই রেখাকে সীম বলে। এখন আপনারা খুব সহজেই চাইলে এটি বুঝতে পারেন, আপনার জিন্স প্যান্টের দুটি পায়ের মধ্যে ভালো করে লক্ষ্য করে দেখুন দুইটি কাপড়কে একসাথে জোড়া লাগানো হয়েছে, এটিই হল সীম।
সীমের গুনাগুন সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক
- সীমের শক্তি
- সীমের টেকসই
- সীমের নিরাপত্তা
- সীমের স্থিতিস্থাপকতা
- সীমের আরাম প্রদতা
- আগুনের শিখা প্রতিরোধক বৈশিষ্ট্য
- পানি প্রতিরোধক বৈশিষ্ট্য
সীমের শক্তি
সীমের শক্তি কাপড়ের শক্তির চেয়ে সামান্য কম অথবা সমান সমান হওয়া দরকার। সীমের শক্তি যদি কাপড়ের শক্তির চেয়ে বেশি হয় তাহলে কাপড় ছিঁড়ে যেতে পারে। তাই সীম এবং কাপড়ে শক্তি সমান অথবা হালকা একটু পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু তেমন মেজর কোন পরিবর্তন হলে হবে না।
সীমের টেকসই
সাধারনত সীম পোশাকের সমান সমান টেকসই হয় অর্থাৎ, পোশাক যতদিন টেকসই হবে সীম ও ততদিন টেকসই হবে। যদি সীম এবং পোশাকের শক্তি সমান সমান হয় তাহলে এটা হয়। নয়তো দেখা যায় সীমের শক্তি যদি বেশি হয় তাহলে আগে পোশাক ছিঁড়ে যায় আর পোশাকের কাপড় যদি সীমের থেকে বেশি শক্তিশালী হয় তাহলে সীম ছিড়ে যায়। এই দুইটির একটি ছিড়লেও পোশাক পরিধান উপযোগী থাকবে না।
সীমের নিরাপত্তা
সীমের নিরাপত্তা দেওয়াটা খুবই জরুরী। কারণ পোশাক পরিধান করার সময় যদি সীমের সুতা ছিড়ে যায় তাহলে সীম ধীরে ধীরে খুলে যাবে আর পোশাকটি পরিধানের অনোউপযোগী হয়ে যাবে। তাই সীম তৈরি করার সময় অবশ্যই সীমের নিরাপত্তা দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সীমের স্থিতিস্থাপকতা
সীমের স্থিতিস্থাপকতা হলো, একটি প্যান্টের সীমের মধ্যে যেকোনো মুহূর্তে বল প্রয়োগ হতে পারে। বলপ্রয়োগ যখন হবে তখন যদি প্যান্টের ফেব্রিক সম্প্রসারণ করে তার সাথে সাথে যদি সীম ও সম্প্রসারণ করে তাহলে তো ঠিক। আর যদি প্যান্টের ফেব্রিক সম্প্রসারণ করে সীম সম্প্রসারণ না করে তাহলে সীমের সুতা ছিড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অধিক থাকে। তাই কাপড় যদি সম্প্রসারণ করে তাহলে অবশ্যই সীমকেও সম্প্রসারণশীল হতে হবে।
সীমের আরাম প্রদতা
সীমের আরামপ্রদতা নিশ্চিত করতে হবে কিছু কিছু পোশাকের। যা আমাদের শরীরে লেগে থাকে যেমন :- গেঞ্জি, জাংগিয়া, মাফলার ব্রা ইত্যাদি। এই পোশাকগুলো আমাদের শরীরে লেগে থাকে তাই এই পোশাকগুলোতে যখন সীম লাগানো হয় তখন অবশ্যই সীমের বৈশিষ্ট্য নরম এবং আরামদায়ক হতে হবে। যদি আরামদায়ক সীম লাগানো না হয় তাহলে এই পোশাকগুলো পড়তে অস্বস্তি অনুভব হবে।
আগুনের শিখা প্রতিরোধক বৈশিষ্ট্য
কিছু কিছু পোষাক রয়েছে যেগুলো আগুন প্রতিরোধক। ফায়ারম্যানদের যে পোশাক দেওয়া হয় এসব পোশাকগুলো আগুন প্রতিরোধক হয়। আগুন প্রতিরোধক পোশাক সেলাই করার সময় যেই সুতা ব্যবহার করা হয় তা অবশ্যই আগুন প্রতিরোধক হতে হবে। এবং যেই সীম ব্যবহার করা হবে তাও আগুন প্রতিরোধক হতে হবে। যদি সীম আগুন প্রতিরোধক না হয় তাহলে আগুনের সংস্পর্শে আসলেই সীম পুড়ে যাবে।
পানি প্রতিরোধক বৈশিষ্ট্য
পানি প্রতিরোধক বৈশিষ্ট্য শুধুমাত্র ঐ পোশাকেই ব্যবহার করা হয়। এই পোশাকটি পানি প্রতিরোধক হয়। যেমন সুইমিং স্যুট। ছবির সুর তৈরি করার সময় সীমের উপর দিয়ে যেই সেলাই করা হবে উক্ত সেলাই দিয়ে পোষাকের ভেতর পানির সম্ভাবনা থাকে। তাই সেলাইয়ের সময় টেপ দিয়ে উক্ত ছিদ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া যেতে পারে। যাতে করে ছিদ্রপথ দিয়ে পানি প্রবেশ করতে না পারে।